সমুদ্রস্রোত

- সাধারণ বিজ্ঞান - জীব বিজ্ঞান | NCTB BOOK
3.2k
Summary

সমুদ্রস্রোত (Ocean Current) প্রধানত বায়ুপ্রবাহ দ্বারা সৃষ্টি হয়, যা পানির উপরিভাগের সঙ্গে ঘর্ষণের মাধ্যমে ঘূর্ণন তৈরি করে। সমুদ্রস্রতকে উষ্ণ এবং শীতল স্রোত দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।

সমুদ্রস্রতের প্রধান কারণ:

  • নিয়ত বায়ুপ্রবাহ: বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতের দিক ও গতি নিয়ন্ত্রণ করে। অয়ন বায়ু পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে এবং পশ্চিমা বায়ু পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সরিয়ে দেয়।
  • পৃথিবীর আহ্নিক গতি: ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী, জল আন্দোলনে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়।
  • সমুদ্রজলের তাপমাত্রার পার্থক্য: নিরক্ষীয় অঞ্চলের উষ্ণ পানি শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে, ও মেরু অঞ্চলের শীতল পানি নিরক্ষীয় দিকে প্রবাহিত হয়।
  • মেরু অঞ্চলের বরফের গলন: বরফ গললে জলের স্ফীতি ও লবণাক্ততা হ্রাস পায়, যা স্রোতের সৃষ্টি করে।
  • সমুদ্রের গভীরতার তারতম্য: গভীরতার কারণে তাপমাত্রায় পার্থক্যের ফলে উর্ধ্বগামী ও নিম্নগামী স্রোত সৃষ্টি হয়।
  • সমুদ্রজলের লবণাক্ততার পার্থক্য: ভিন্ন লবণাক্ততা স্রোতের সৃষ্টি করে, কারণ অধিক লবণাক্ত জল ভারী।
  • ভূখন্ডের অবস্থান: মহাদেশ বা দ্বীপ হলে স্রোত তার গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

সমুদ্রস্রোত (Ocean Current)

সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ বায়ুপ্রবাহ। বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রের উপরিভাগের পানির সঙ্গে ঘর্ষণ তৈরি করে এবং ঘর্ষণের জন্য পানিতে ঘূর্ণন তৈরি করে। সমুদ্রের পানি একটি নির্দিষ্ট গতিপথ অনুসরণ করে চলাচল করে, এক সমুদ্রস্রোত বলে। সমুদ্রস্রোতকে উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- উষ্ণ স্রোত এবং শীতল স্রোত।

 

সমুদ্রস্রোতের কারণ

১) নিয়ত বায়ুপ্রবাহ: নিযত বায়ুপ্রবাহই সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ। এসব বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতের দিক ও গতি নিয়ন্ত্রণ করে। অয়ন বায়ু, পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ুর প্রবাহ অনুযায়ী প্রধান সমুদ্রস্রোতগুলোর সৃষ্টি হয়। অয়ন বায়ু প্রবাহিত এলাকায় সমুদ্রস্রোত পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত এলাকায় সমুদ্রস্রোত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।

 

২) পৃথিবীর আহ্নিক গতি: পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে ফেরেলের সূত্র অনুসারে বায়ুপ্রবাহের মতো সমুদ্রজলও উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। এর ফলে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়।

 

৩) সমুদ্রজলের তাপমাত্রার পার্থক্য: নিরক্ষীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় জলরাশি হালকা হয় ও হালকা জলরাশি সমুদ্রের উপরিভাগ দিয়ে পৃষ্টপ্রবাহরূপে শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে উষ্ণ স্রোত বলে। অন্যদিকে মেরু অঞ্চলের শতিল ও ভারী জলরাশি জলের নিচের অংশ দিয়ে অন্তঃপ্রবাহরূপে নিরক্ষীয় উষ্ণমন্ডলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে শীতল স্রোত বলে।

 

৪) মেরু অঞ্চলের সমুদ্রে বরফের গলন: মেরু অঞ্চলের সমুদ্রে বরফ কিছু পরিমাণ গলে গেলে জলরাশি স্ফীত হয় ও সমুদ্রজলের লবণাক্ততার পরিমান হ্রাস পায়। এর ফলে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়।

 

৫) সমুদ্রের গভীরতার তারতম্য: সমুদ্রের গভীরতার তারতম্য অনুসারে তাপমাত্রার পার্থক্য হয়। অগভীর সমুদ্রের জল দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উপরে ওঠে। তখন গভীরতর অংশের শতিল জল নিচে নেমে আসে। এজন্য ঊর্ধ্বগামী ও নিম্নগামী সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়। সমুদ্রের পৃষ্ঠে গতি সবচেয়ে বেশি। সমুদ্রের ১০০ মিটার নিচ থেকে গতি কমতে থাকে।

 

৬) সমুদ্রজলের লবণাক্ততার পার্থক্য: সমুদ্রজলে লবণের সর্বত্র সমান নয়। অধিক লবণাক্ত জল বেশি ভারী বলে তার ঘণত্বও বেশি। বেশি ঘণত্বের জল কম ঘণত্বের দিকে প্রবাহিত হয় ও সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি করে।

 

৭) ভূখন্ডের অবস্থান: সমুদ্রস্রোতের প্রবাহপথে কোনো মহাদেশ, দ্বীপ প্রভৃতি ভূখন্ড অবস্থান করলে সমুদ্রস্রোত তাতে বাধা পেয়ে দিক ও গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। অনেক সময় এর প্রভাবে সমুদ্রস্রোত একাধিক শাখায় বিভক্ত হয়।

 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বায়ু প্রবাহের প্রভাব

সমুদ্রের ঘূর্ণিঝড়

সমুদ্রের পানিতে তাপের পরিচালনা

সমুদ্রের পানিতে ঘনত্বের তারতম্য

ফ্যাদোমিটার
ব্যারোমিটার
ট্যাকোমিটার
ভিক্টোমিটার
উপকূল হতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা যথাক্রমে ১২ নটিক্যাল মাইল ও ২০০ নটিক্যাল মাইল।
-
-
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...